ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরীর মুক্তির দাবিতে উত্তাল নীলফামারী
নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে চিলাহাটিতে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩০এপ্রিল ২০২৫, বুধবার সন্ধ্যার পর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে মিছিলটি চিলাহাটির প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌরঙ্গী মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইঞ্জিনিয়ার তুহিন একজন সৎ, নির্ভীক ও জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলো রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে উদ্ভূত। তারা অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানিয়ে হুঁশিয়ারি দেন, দাবি না মানা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা "জেলে তালা ভাঙবো, তুহিন ভাইকে আনবো", "তুহিন ভাই জেলে কেন? প্রশাসন জবাব চাই" — এই ধরনের স্লোগানে গোটা চিলাহাটি প্রকম্পিত করে তোলেন।
উল্লেখ্য, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৭ সালে ইঞ্জিনিয়ার তুহিনের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের করে। পরের বছর আদালত তাকে মোট ১৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। তবে কর ফাঁকির মামলায় সাজাগুলো একত্রে চলায় সর্বোচ্চ ৫ বছর ও অবৈধ সম্পদের মামলায় ১০ বছর সাজা নির্ধারিত হয়।
দীর্ঘ ১৭ বছর আত্মগোপনে থাকার পর ২০২৫ সালের ২৯ এপ্রিল তিনি ঢাকার দুটি বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।
তুহিনের আইনজীবীরা জানান, তিনি হৃদরোগসহ একাধিক জটিল রোগে ভুগছেন। এ কারণে আদালত তাকে অ্যাম্বুলেন্সে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন এবং চিকিৎসা ও ডিভিশনের নির্দেশনা প্রদান করেন।
এদিকে, তার জামিন নামঞ্জুরের পর শুধু চিলাহাটি নয়, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকাসহ নীলফামারী জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। জলঢাকার এক বিক্ষোভে বক্তারা বলেন, “তুহিন সাহেবকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি না দিলে গোটা উত্তরবঙ্গ অচল করে দেওয়া হবে।”
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ মকবুলার রহমান