হাসানুজ্জামান সিদ্দিকী হাসান (জলঢাকা)নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারীর জলঢাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠটিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে চলছে ধান, ভুট্টা শুকানোর মহা উৎসব। তা দেখলে মনে হবে এ যেন ধান ও ভুট্টা শুকানোর বৃহৎ এক চাতাল।
রবিবার উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি,বেসরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ কলেজ মাঠের চিত্র দেখা যায়।
এদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহের শিক্ষার্থী দের উম্মুক্ত পরিবেশের খেলার মাঠটিতে ধান,ভুট্টা শুকানোর প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে এলাকাবাসী। ফলে শিক্ষার্থীরা টিফিনের যের সময় পার করছেন শ্রেনী কক্ষেই।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাঠে ধান, ভুট্টা শুকানো কয়েকজন নারী পুরুষ জানান,আমাদের ধান,ভুট্টা শুকানোর কোন জায়গা নেই। আজ রোদ বেশী পড়ায় মাঠে একটু ধান,ভুট্টা শুকিয়ে নিচ্ছি । তাছাড়া সব সময় তো আর এমনটি হয় না। কৃষি কলেজ মাঠে ধান, ভুট্টা শুকানোর কাজে নিয়োজিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীর কয়েকজন জানান, এ কৃষি কলেজে তো কোন পড়ালেখা হয় না। আগে যেমন ছাত্রছাত্রী ছিল তেমনটি এখন নেই। শিক্ষার্থীরা অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করছেন ।হলদিবাড়ি এলাকায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান বিদ্যালয়ের মাঠে ধান, ভুট্টা শুকানোর ফলে আমারা বিদ্যালয়ে টিফিনের সময় খেলাধুলা করতে পারি না। ও ধান, ভুট্টা শুকানোর গরমের তাপের কারনে ক্লাস করতে পারি না। কাঁঠালী ইউসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা জাকিয়াতু রেহানা বেগম গণ মাধ্যমকে জানান, আমাদের নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা সত্বেও সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এলাকার লোকজন ধান শুকাচ্ছে এলাকা সহ বিভিন্ন ব্যাক্তির জোড়ে। তাছাড়া মাঠে ধান আর ভুট্টা শুকানোর ফলে গরমের তাপটা শ্রেনী কক্ষে আসার কারনে শিক্ষার্থীরা শ্রেনী কক্ষে আসতে চায় না। আসলেও তারা ক্লাস করতে পারেনা আর আমরাও গরমের তাপে ঠিকমতো ক্লাশ নিতে পারি না। আমরা এ বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ মকবুলার রহমান