ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাণিজ্য বন্ধের হুমকি দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সোমবার হোয়াইট হাউসে দেয়া এক বক্তব্যে ট্রাম্প জানান, “শনিবার আমাদের প্রশাসন দুই দেশের মধ্যে একটি তাৎক্ষণিক ও পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির ব্যবস্থা করে। আমি বিশ্বাস করি এটি একটি স্থায়ী সমাধানের সূচনা। এর মাধ্যমে পারমাণবিক শক্তিধর দুটি দেশের মধ্যে সম্ভাব্য ভয়াবহ যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব হয়েছে।”
তিনি বলেন, “প্রথমদিকে পরিস্থিতি দেখে মনে হয়েছিল এটি সহজে থামবে না। কিন্তু ভারত ও পাকিস্তানের নেতৃত্ব দায়িত্বশীল ভূমিকা নিয়েছে এবং আমরা তাদের সহায়তা করেছি।”
ট্রাম্প আরো জানান, সংঘাত নিরসনে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি তিনি বাণিজ্য ও শুল্কনীতির মাধ্যমেও চাপ সৃষ্টি করেছিলেন।
তার ভাষায়, “আমি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলাম—আমরা তোমাদের সঙ্গে বড় ধরনের ব্যবসা করতে চাই। তবে তার জন্য শর্ত একটাই—লড়াই থামাও। যদি তোমরা সংঘাত বন্ধ করো, তাহলে আমরা বাণিজ্য করব। নতুবা কোনো বাণিজ্য হবে না।”
তিনি বলেন, “এই বার্তার পর দুই দেশই পেছনে সরে আসে। অবশ্য থামার পেছনে নানা কারণ থাকলেও বাণিজ্য ছিল অন্যতম প্রধান কারণ।”
ট্রাম্প জানান, তার প্রশাসন ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি এবং শুল্ক ইস্যুতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল এবং শিগগিরই পাকিস্তানের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা হবে।
তিনি আরও বলেন, “আমরা এমন একটি পারমাণবিক যুদ্ধ থামাতে সক্ষম হয়েছি যা লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানির কারণ হতে পারত। এতে আমেরিকার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং আমি এতে গর্বিত।”
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ মকবুলার রহমান