স্বল্পমূল্যে মানসম্পন্ন ওষুধ সরবরাহের লক্ষ্যে সারাদেশে চালু হচ্ছে সরকারি ফার্মেসি। বহুল ব্যবহৃত ২৫০ ধরনের ওষুধ মিলবে বাজার মূল্যের এক-তৃতীয় দামে। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান।
ডা. রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে দেশের সব সরকারি হাসপাতাল চত্বরে এই ফার্মেসি চালু হবে। এতে সাধারণ মানুষ সাশ্রয়ী মূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ সংগ্রহের সুযোগ পাবেন। শুধু কম দামে ওষুধ নয়, মানের ক্ষেত্রেও থাকবে সর্বোচ্চ নিশ্চয়তা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি অসুখে আক্রান্ত রয়েছেন কয়েক কোটি মানুষ। এসব রোগীদের চিকিৎসা ব্যয়ের প্রায় ৬৪ শতাংশই ব্যয় হয় ওষুধ কেনায়। ফলে, প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ ওষুধ কিনতেই দরিদ্র হয়ে পড়েন। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়েই এই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
সরকারি ফার্মেসিতে বিক্রিত ২৫০ ধরণের ওষুধ দিয়েই চিকিৎসা সম্ভব প্রায় ৮৫ শতাংশ সাধারণ রোগীর। এই কার্যক্রমে শুধু ওষুধ বিক্রিই নয়, ধীরে ধীরে যুক্ত করা হবে ফার্মাসিউটিক্যাল সার্ভিসও, যা দেশে এখনো অনেকাংশেই অনুপস্থিত।
তিনি আরও জানান, সরকারি ওষুধ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান ইডিসিএল (EDCL) প্রতিবছর প্রায় ১৩শ কোটি টাকার ওষুধ সরবরাহ করে। নতুন এই প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠানটির বাজেট ও উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
সরকারি ফার্মেসির বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে ওষুধ চুরি ও অপচয়। তাই পুরো ব্যবস্থা ডিজিটাল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে ওষুধের গুণগত মান, সরবরাহ ও হিসাব সবকিছুই সহজে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
এই নতুন উদ্যোগ সরকারের সুলভ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের বড় এক পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।