মোঃ মকবুলার রহমান
স্টাফ রিপোর্টার:
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট। ফলে সব মামলায় সাজামুক্ত হলেন তারেক রহমান বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার (২৮ মে) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মোহিউদ্দিন মুরশেদ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। আদালতের রায়ে বলা হয়, দণ্ডিত হওয়ার মতো কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি দুদক। ফলে অভিযুক্তরা খালাস পাওয়ার যোগ্য।
তারেক রহমানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম শাজাহান জানান, জুবাইদা রহমানের আপিল মঞ্জুর করে আদালত তাঁকে নির্দোষ সাব্যস্ত করেছে। একইসঙ্গে, একই মামলার একজন আসামি হিসেবে তারেক রহমানও খালাস পেয়েছেন। তিনি জানান, জুবাইদা রহমানের খালাসের সুবিধা বা benefit of acquittal তারেক রহমানও পেয়েছেন, যদিও তিনি আলাদাভাবে আপিল করেননি।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ঢাকার কাফরুল থানায় তারেক রহমান, জুবাইদা রহমান ও হারুন অর রশীদ নামে এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলাটি করে। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
এই মামলায় ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার একটি বিশেষ আদালত তারেক রহমানকে নয় বছর এবং জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করে। পরে ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জুবাইদা রহমানের সাজা স্থগিত করা হয়।
২০২৪ সালের ৬ মে দেশে ফিরে জুবাইদা রহমান হাইকোর্টে আপিল করতে বিলম্ব মার্জনার আবেদন জানান, যা আদালত গ্রহণ করে। পরবর্তীতে তিনি আপিল ও জামিন আবেদন করলে সেটিও মঞ্জুর হয়। দীর্ঘ শুনানির পর আজ রায় ঘোষণা করে আদালত।
উল্লেখ্য, তারেক রহমান ২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন এবং সেখান থেকেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দল পরিচালনা করছেন।