• রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৩ অপরাহ্ন
Headline
ঘুষ-দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান জানালেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কারো নাক গলানো বরদাশত নয়: জামায়াত আমীর ডা. শফিকুর রহমান নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা অবৈধ হজযাত্রীদের জন্য সৌদিতে থাকার নিষেধাজ্ঞা, কার্যকর ২৯ এপ্রিল সাবেক সংসদ সদস্য তুহিনকে ঘিরে নতুন প্রত্যাশায় এলাকাবাসী পঞ্চগড়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দাবিতে মানববন্ধন গোসাইগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন ‎ চৈত্রসংক্রান্তি: বাংলার প্রাণের উৎসবে অতীতের ঐতিহ্যের নিবিড় ছোঁয়া সোহরাওয়ার্দীতে জনসমুদ্র: ফিলিস্তিনের পাশে বাংলাদেশের কণ্ঠ গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে উত্তাল রাজধানী: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে মানুষের ঢল

চৈত্রসংক্রান্তি: বাংলার প্রাণের উৎসবে অতীতের ঐতিহ্যের নিবিড় ছোঁয়া

মোঃ মকবুলার রহমান / ২৫ Time View
Update : রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫

 

বছরের অন্তিম প্রহরে, পুরাতনকে বিদায় আর নতুনকে বরণ করে নিতে বাঙালির প্রাণের উৎসব চৈত্রসংক্রান্তি হাজির হয় আপন মহিমায়। আজ ১৩ এপ্রিল, রবিবার—বাংলা বছরের শেষ দিন। চৈত্রমাসের এই দিনটিকেই ঘিরে বাংলার গ্রামীণ সমাজে গড়ে ওঠে বৈচিত্র্যময় আয়োজন। আগামীকাল ১৪ এপ্রিল, সোমবার, পহেলা বৈশাখে শুরু হবে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২।

চৈত্রসংক্রান্তি যেন আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের জীবন্ত চিত্র। যুগের পর যুগ ধরে এই উৎসব ধারণ করে এসেছে বাংলার চিরায়িত অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতি। পহেলা বৈশাখের পূর্বক্ষণে এই সংক্রান্তি যেন নতুন বছরকে বরণ করার পূর্বসূচি।

এই দিনটি বিশেষভাবে পালন করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। ধর্মীয় নিয়মে তারা স্নান, দান, ব্রত ও উপবাস পালন করেন। বিভিন্ন স্থানে পালিত হয় শিবের গাজন ও ধর্মের গাজন নামের পালাগান। কৃষিজীবী সমাজের কাছে গাজন এক অনন্য উৎসব, যা চৈত্রের তীব্র রোদ ও খরায় কৃষকের বৃষ্টিকামনার প্রতীক হয়ে ওঠে। কোথাও কোথাও আয়োজিত হয় চড়ক পূজা, যা এই উৎসবের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও বৈচিত্র্যময় অংশ।

গ্রামবাংলার আনাচে-কানাচে চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে বসে মেলা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হয় হালখাতার আয়োজন। সেইসঙ্গে গান, লাঠিখেলা, শোভাযাত্রা, সংযাত্রা, রায়বেশে নৃত্য—সব মিলিয়ে গ্রামীণ জনপদ ভরে ওঠে আনন্দ আর ঐতিহ্যে।

চড়ক উৎসব চৈত্রসংক্রান্তির অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। এই উৎসবে গ্রামের শিবতলা থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে ঘুরে বেড়ায় অন্য গ্রামে। কেউ সেজে ওঠে শিব, কেউ গৌরী, আবার কেউ ভূত-প্রেত বা দৈত্য-দানবের রূপ ধারণ করে। এভাবেই লোকবিশ্বাস আর ধর্মীয় চর্চার মিশেলে তৈরি হয় এক অনন্য সাংস্কৃতিক পরিবেশ।

এদিকে, পুরাতনের সব গ্লানি, ক্লেশ ও জরা ভুলে আগামীকাল বাঙালি মিলিত হবে নববর্ষের আনন্দোৎসবে। বৈশাখের সূর্য উদয়ের সঙ্গে সঙ্গে উচ্চারিত হবে অঙ্গীকার—সব অন্ধকারকে বিদায় জানিয়ে আলোর পথে এগিয়ে যাওয়ার।

Facebook Comments Box


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
bdit.com.bd