প্রবাসে অবস্থান করলেও নীলফামারীর ডোমার-ডিমলার মাটি ও মানুষের হৃদয়ে আজও অটুটভাবে জাগরুক এক নাম—প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন। তিনি শুধু একজন সাবেক সংসদ সদস্যই নন, ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবেও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রতীক। আজ সেই নেতার প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন তার নির্বাচনী এলাকার হাজারো মানুষ।
তুহিনের নামে দায়ের করা কথিত মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবিতে ইতোমধ্যেই মাঠে নেমেছে জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনসমূহ। বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশে মুখরিত হয়ে উঠেছে এলাকাটি। সরকারপ্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দলীয় নেতাকর্মীরা আবেদন জানাচ্ছেন—সত্যের পথযাত্রায় যেন বাধা না আসে, অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার করা হোক।
ডোমার-ডিমলার বাসিন্দারা স্মরণ করেন অষ্টম জাতীয় সংসদে এমপি না হয়েও যে উন্নয়নের জোয়ার এনেছিলেন এই প্রকৌশলী নেতা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি, বিশেষ করে গোসাইগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট অবদান রাখাসহ রাস্তাঘাটের পাকা করণ, বিদ্যুতায়ন, নদী ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ—সবকিছুতেই ছিলো তার সরব উপস্থিতি ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব। অনেকেই বলেন, জেলা রাজনীতির গতিপথ তিনি পাল্টে দিয়েছিলেন উন্নয়ন আর জনসম্পৃক্ততার মাধ্যমে।
স্থানীয় বিএনপি নেতারা বলেন, তুহিন ভাই শুধু একজন নেতা নন, তিনি এই এলাকার জন্য এক আশীর্বাদ। ডোমার উপজেলা বিএনপির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম কালুর ভাষায়, “তিনি পাশে থাকলেই উন্নয়নের গতি বাড়ে, নতুন স্বপ্ন জাগে মানুষের মনে।”
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম বলেন, “দলের প্রতিটি কার্যক্রম তুহিন ভাইয়ের দিকনির্দেশনায় পরিচালিত হয়েছে। তার দূরদর্শী নেতৃত্বেই আজ নীলফামারীতে বিএনপি নতুন করে সংগঠিত ও শক্ত অবস্থানে।”
দমন-পীড়নের অন্ধকার সময়েও দলীয় চেতনাকে বুকে লালন করে যারা সামনে এগিয়েছে, তারা জানে—তুহিন ভাইয়ের অনুপস্থিতি শুধুই শারীরিক, আদর্শিকভাবে তিনি সবসময়ই তাদের মাঝে ছিলেন, আছেন, থাকবেন।
এখন শুধু অপেক্ষা—তুহিনের বিজয়ী প্রত্যাবর্তনের। এলাকাবাসীর বিশ্বাস, তিনি ফিরে এসে আবারো হাল ধরবেন উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের।