ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলি বর্বরতা ও নিরীহ মানুষের উপর নির্মম হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭ এপ্রিল, সোমবার দুপুরে উলিপুরের মসজিদুল হুদা চত্বরে এই কর্মসূচি পালন করে জামায়াতে ইসলামী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সাধারণ ছাত্র-জনতা ও স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
সমাবেশের শুরু থেকেই “হে মুসলিম উম্মাহ, যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নাও”, “আমিও শহীদ হতে প্রস্তুত”, “মার্চ ফর ফিলিস্তিন”—এমন শোলগানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো উলিপুর শহর। স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক কর্মী, সাধারণ জনগণসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশ নেয় এ আয়োজনে।
বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনের শিশুদের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে বলেন, “আমাকে গুলি করো, কিন্তু আমার সন্তানকে মেরো না”, “আমার ফুসফুস কেটে নাও, কিন্তু আমার শিশুর অক্সিজেন কেড়ে নিও না”—এই কথাগুলোর ভেতরেই ফুটে ওঠে নিপীড়িত এক জাতির আর্তনাদ। তারা জানান, ইসরায়েলি বাহিনীর এসব নির্যাতন বিশ্ব বিবেককে নাড়া দেয়ার মতো।
বিক্ষোভ মিছিলটি মসজিদুল হুদা থেকে শুরু হয়ে শহরের থানা মোড়, পূর্ব মাথা, উপজেলা চত্বরসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে ফিরে আসে এবং সেখানে আধাঘণ্টাব্যাপী সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন মসজিদুল হুদার ইমাম মাওলানা আনছার আলী, অধ্যাপক মশিউর রহমান, অধ্যাপক আব্দুল জলিল সরকার, মাওলানা আতাউর রহমান এবং শাহী মসজিদের ইমাম জিয়াউল ইসলাম। বক্তারা বলেন, “ইসরায়েলি বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ফিলিস্তিনের শিশু, নারী ও নিরস্ত্র নাগরিকদের হত্যা করছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজ ঘর থেকে বাস্তুচ্যুত। এটি শুধু একটি অঞ্চল নয়, সমগ্র মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।”
তারা আরও বলেন, “ইসরায়েলের পণ্য বর্জন করে ও বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ গড়ে তুলে আমাদেরকে এই বর্বরতার জবাব দিতে হবে। মুসলিম বিশ্ব যদি ঐক্যবদ্ধ হয়, তাহলে এই নিপীড়ন থামানো সম্ভব।”
মানবিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে এই ধরনের উদ্যোগকে সময়োপযোগী বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন মহল।