পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরের ছুটি মিলিয়ে টানা ৪০ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী বুধবার (৯ এপ্রিল) পুনরায় চালু হচ্ছে দেশের সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ ছুটির অবসানে আবারও শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো, বাজবে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের ঘণ্টা।
২০২৫ সালের শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী এই ছুটিগুলো পূর্বনির্ধারিত ছিল। গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর প্রকাশিত শিক্ষাপঞ্জিতে রমজান, দোলযাত্রা, স্বাধীনতা দিবস, জুমাতুল বিদা, শবে কদর এবং ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে এই লম্বা ছুটির পরিকল্পনা করা হয়। সবশেষ ক্লাস অনুষ্ঠিত হয় ২৭ ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ রমজানের ঠিক আগে। এরপর শুরু হয় টানা ছুটি।
এতদিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষাঙ্গনে জমেছে ধুলো-ময়লা। তবে এরই মধ্যে অধিকাংশ স্কুল-কলেজে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাকি সময়ের মধ্যে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে জোরেশোরে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) তথ্য অনুযায়ী, বুধবার থেকে যথারীতি পুরোদমে ক্লাস শুরু হবে। যেসব শিক্ষার্থী এখনও এক-দুইটি পাঠ্যবই পায়নি, তাদের হাতে বই তুলে দেওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, দীর্ঘ ছুটি ও পাঠ্যবই না পাওয়ার কারণে যে পাঠঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে শিক্ষকদের বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। যেসব প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা কেন্দ্র পড়েছে, সেখানে পরীক্ষা চলাকালীন নির্দিষ্ট দিনের ক্লাস বন্ধ থাকবে। তবে সকালে পরীক্ষা শেষ হলে বিকেলে সীমিত আকারে হলেও ক্লাস নেওয়া সম্ভব কিনা, সে বিষয়েও আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে মাউশির সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
রাজধানীর বেশিরভাগ স্কুলে ইতোমধ্যে সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় সব বই বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। কিছু অষ্টম ও নবম শ্রেণির বই স্কুলে পৌঁছে গেছে, যা শিক্ষার্থীদের আগমনের পর হাতে দেওয়া হবে। তবে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কিছু স্কুলে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কিছু বই এখনও বাকি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ছুটির পরপরই সেগুলো সরবরাহ করা হবে।