বিমল কুমার রায়,
পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে আত্মীয়ের লাশ দেখে ফেরার পথে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুসহ তিনজনের নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তেছে আরও একজন।
নিহতরা হলেন বোদা উপজেলার সাকোয়া এলাকার তাপস চন্দ্র রায়ের স্ত্রী শ্যামলী রানী রায় (৩০) এবং দেবীগঞ্জ উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়নের রাজার হাট এলাকার হরেন্দ্র নাথের মেয়ে দেবশ্রী রায়(৭) ও পামুলী ইউনিয়নের জোত ভূবন পাড়ার অরুন রায়ের স্ত্রী বর্ষা রানী(৩৫)। দেবশ্রী রায় শ্যামলী রানীর বড় বোন কমলার মেয়ে এবং বর্ষা রানী বড় ভাইয়ের বউ।
এছাড়াও গুরুতর আহত হয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নের লক্ষীর হাট এলাকার মৃত সুরেন্দ্র নাথের ছেলে অজয় কুমার রায়(৬০)
বৃহস্পতিবার (২৯) মে বিকাল ৩ টায় দেবীগঞ্জ পৌর সদরের পাখুরীতলার মদিনা কোল্ড স্টোরেজ সংলগ্ন বোদা-দেবীগঞ্জ মহাসড়কে এই দূর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত বুধবার রাতে অজয় রায়ের বেয়াইন মারা যাওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে অজয় রায় স্ব-পরিবারে তার মৃত বেয়াইনকে দেখতে পাশ্ববর্তী ডোমার উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নে গিয়েছিলেন। ইজিবাইকে (থ্রি হুইলার) ফেরার পথে পাকুরীতলার মদিনা কোল্ড স্টোরেজের কাছে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাদের বহনকারী ইজিবাইকে সজোড়ে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। এতে গুরুতর আহত হয়ে মহাসড়কে ছিটকে পড়েন তারা।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাৎক্ষণিক ভাবে ৩টি এ্যাম্বুলেন্স যোগে তাদের রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। পথিমধ্যে শ্যামলীর মৃত্যু হলে এ্যাম্বুলেন্স দেবীগঞ্জে ফিরিয়ে আনা হয়। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর পরেই মারা যায় দেবশ্রী এবং বর্ষা রানী।
দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোয়েল রানা জানান, নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় সড়ক দুর্ঘটনা আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে এবং ঘাতক ট্রাকটি ধরার জন্য সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, ঘাতক ট্রাকটিতে মাছ বহনকারী ড্রাম ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। গত এক মাসে এশিয়ান হাইওয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৭ জনের।