বাংলা নববর্ষ বাঙালির আত্মার উৎসব, সংস্কৃতির প্রাণস্পন্দন। এই চিরায়ত ঐতিহ্যকে শ্রদ্ধাভরে ধারণ করে গোসাইগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হলো বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। নানা সাজসজ্জা, সাংস্কৃতিক আয়োজন ও প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে কলেজ প্রাঙ্গণ পরিণত হয়েছিল এক উৎসবমুখর মিলনমেলায়।
দিনব্যাপী এই আয়োজনে সকাল থেকেই কলেজ চত্বর মুখর হয়ে ওঠে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে। রঙিন পতাকা, আলপনা ও ঐতিহ্যবাহী সাজে কলেজ প্রাঙ্গণ হয়ে ওঠে বাঙালিয়ানার এক জীবন্ত প্রতিচ্ছবি। উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল পান্তা-ইলিশ, শাক-সবজি ও নানাবিধ ভর্তা দিয়ে সাজানো বাঙালি ঐতিহ্যের খাবারের আয়োজন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের নবনির্বাচিত গভর্নিং বডির সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম সাজী। তিনি ঘুরে দেখেন বৈশাখীর সব আয়োজন। তাঁর আগমনে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সমাজের মধ্যে বিশেষ উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়।সভাপতির অনুপ্রেরণাদায়ক বক্তব্যে উঠে আসে শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং সংস্কৃতির প্রতি তাঁর গভীর দায়বদ্ধতা। তিনি বলেন,“বাংলা নববর্ষ শুধু একটি উৎসব নয়, এটি আমাদের ঐতিহ্যের স্মারক, আমাদের শেকড়ের সাথে সংযোগ। এ ধরনের আয়োজন নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম, ঐতিহ্যবোধ ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে তোলে।”
বক্তব্যপর্ব শেষে পরিবেশিত হয় ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার। পরে তিনি শিক্ষকদের সঙ্গে এক সৌহার্দ্যপূর্ণ মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। সভায় শিক্ষার মানোন্নয়ন, পাঠদানের পরিবেশ উন্নয়ন এবং অবকাঠামোগত অগ্রগতিসহ নানা বিষয় নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়।
এ আয়োজন গোসাইগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজকে পরিণত করেছিল এক সংস্কৃতির উৎসবে—যেখানে একতা, সৌহার্দ্য ও বাঙালিয়ানার মিলন ঘটেছে অনন্যভাবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, শিক্ষার্থীদের মাঝে সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা গড়ে তুলতেই এমন আয়োজন ভবিষ্যতেও নিয়মিত করা হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষক-কর্মচারী এবং স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ আশা প্রকাশ করেন যে, নবনির্বাচিত সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম সাজী সাহেবের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটি আগামীর দিনগুলোতে আরও উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাবে।