মোঃ মকবুলার রহমান
স্টাফ রিপোর্টার:
সময়ের পথ ধরে এগিয়ে চলা একটি জনপদ—ভোগডাবুরী ইউনিয়ন। এই জনপদের প্রতিটি পথ, প্রতিটি মানুষ আজ যেন এক নতুন আশার আলোয় আলোকিত। এই পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দুতে যিনি আছেন, তিনি আর কেউ নন—জনাব রেয়াজুল ইসলাম কালু। রাজনীতির কঠিন জগতের মধ্যেও যিনি অন্তর দিয়ে ভালোবাসেন মানুষকে, পরম নিষ্ঠা ও মানবিকতা দিয়ে যিনি রচনা করে চলেছেন উন্নয়নের এক সাহসী কাব্য, তিনি সত্যিই ব্যতিক্রমী।
জনাব কালু শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, তিনি এই জনপদের আত্মা হয়ে উঠেছেন। চেয়ারে বসে শাসন করা নয়, বরং মানুষের পাশে থেকে সেবার মানসিকতা নিয়ে যিনি রাজনীতি করেন, তিনি হলেন এই ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তিনি জনসেবাকে করেছেন নিজের জীবনের মূল ব্রত। তাঁর ব্যক্তিত্বে আছে কঠোর বাস্তবতা ও কোমল হৃদয়ের অপূর্ব মেলবন্ধন।
ভোগডাবুরীর প্রতিটি মানুষ জানেন, এই চেয়ারম্যান ব্যতিক্রম। দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি ছুটে চলেন মানুষের দ্বারে দ্বারে। কারো অসুস্থতায় তিনি ওষুধ নিয়ে হাজির, আবার কারো শিক্ষার অভাবে তিনি দিচ্ছেন নতুন আলোর সন্ধান। উন্নয়নের প্রতিটি পরতে পরতে আছে তার শ্রম, মেধা এবং এক গভীর দায়বদ্ধতা।
এই ইউনিয়নের অলিগলি, বাজারঘাট, স্কুলমাঠ কিংবা কৃষকের ধানক্ষেত—সবখানেই তিনি নিজের উপস্থিতির ছাপ রেখে গেছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, কৃষি, সামাজিক নিরাপত্তা—প্রতিটি খাতে তার আন্তরিক প্রচেষ্টা মানুষের মুখে মুখে। ভাতা ও সেবাদানের ক্ষেত্রে তিনি এনেছেন স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা, যেখানে দলীয় পরিচয় নয়, বরং প্রাপ্যতাই বিবেচ্য হয়েছে। তার নেতৃত্বে ইউনিয়ন পরিষদ হয়ে উঠেছে সত্যিকার অর্থেই “জনগণের ঘর”।
তিনি মনে করেন, একজন নেতার কাজ শুধু নীতিনির্ধারণে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তাকে হতে হয় একজন পরিশ্রমী কর্মী, একজন দয়ালু অভিভাবক এবং একজন দূরদর্শী পরিকল্পনাকারী। এই বিশ্বাসকে বাস্তব রূপ দিতেই তিনি নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন জনগণের কল্যাণে।
ভোগডাবুরী ইউনিয়নের মানুষ আজ গর্বিত, কারণ তাদের একজন নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যিনি শুধু কথা নয়, কাজ দিয়ে প্রমাণ করেছেন—ভালোর পেছনে থাকলে বদলে দেওয়া যায় সময়, সমাজ এবং ভবিষ্যৎ। দুর্যোগের সময় তিনি দাঁড়িয়েছেন দুর্গতদের পাশে, আনন্দের সময় তিনি হয়েছেন উদযাপনের অংশ। সাধারণ মানুষ যখন সমস্যায়, তখন তারা খুঁজে ফেরেন সেই একটিই আশার নাম—“কালু ভাই”।
তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং হৃদয়বান নেতৃত্বে ভোগডাবুরী পেয়েছে নতুন রূপ, নতুন প্রাণ। গ্রামীণ জীবনমানের প্রতিটি স্তরে তার উন্নয়নমূলক কাজের ছোঁয়া স্পষ্ট। এই জনপদের উন্নয়নের পথে তিনি যেন এক নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছেন—কোনো শোরগোল নয়, বরং স্থিরতা ও দায়বদ্ধতার মধ্য দিয়ে।
ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে ভোগডাবুরীর মানুষ আজ একটাই আশা পোষণ করে—এই অগ্রযাত্রা যেন থেমে না যায়, এই আলোর মিছিল যেন আরও দূরে ছড়িয়ে পড়ে। জনাব রেয়াজুল ইসলাম কালুর নেতৃত্বেই তারা দেখতে চান একটি উন্নত, সুশাসিত ও মানবিক ইউনিয়নের স্বপ্ন পূরণ হতে।
এইজন্যই আজ ভোগডাবুরীর প্রতিটি হৃদয়ে একটি নামই সবচেয়ে আপন—রেয়াজুল ইসলাম কালু।